মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০১ পিএম
খেলাপি ঋণ থেকে মুক্তি পেতে আইনি প্রক্রিয়া কিছু পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ঋণ গ্রহীতা কোম্পানির পরিচালক, চেয়ারম্যান তারা সবাই পারসোনাল গ্যারান্টি দেবে। এই সমস্ত গ্যারান্টিগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় শক্তিশালী করা হবে । কেউ যদি ঋণ পরিশোধে ফেল করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অ্যাকশন নিতে পারবো। এগুলো করতে পারলে খেলাপি ঋণ বাড়বে না।
মঙ্গলবার শেরে বাংলানগর এনইসি মিলনায়তনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনি প্রক্রিয়ার
দুর্বলতার কারণেই খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছিল উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন খেলাপি ঋণ বাড়ার কোনো সুযোগ থাকবেনা। কাস্টমার দায়ী থাকলে তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইভাবে ব্যাংকের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে খেলাপি ঋণ বাড়বে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, যারা ভালো ঋণগ্রহীতা তাদের আবারো ঋণ দেয়া হবে। আর যারা ভালো নয়, তাদেরকে ঋণ দেয়া হবে না।
চার ব্যাংকের সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রতি তিন মাস পর পর চার ব্যাংকের সাথে বৈঠক করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। এতে এলসি’র ঝামেলা এবং ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ক্ষেত্রে যেসব অসুবিধা তৈরি হয়েছে তা অচিরেই দূর হবে বলে মনে করেন তিনি। এসময় মন্ত্রী আবারো বলেন, ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে আর কোন অর্থ দেয়া হবে না। মূলধন ঘাটতি পূরণে ব্যাংকগুলোকে লাভে আসতে হবে এবং নিজেদেরই তা পূরণ করতে হবে।
ব্যাংকিং খাত ঠিক করতে কমিশন গঠন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এখন আমরা ঘর গোচাচ্ছি, আইন ঠিক করছি। তারপর যদি আমরা ব্যর্থ হই তাহলে কমিশন করব। কমিশন তখন খুজে বের করবে, কেন আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। এখনো তো আমরা এগুলো করি নি। তাই আগে এগুলো করি। তারপর প্রয়োজনে একাধিক কমিশন করব।
কামাল আরো বলেন, চারটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক থেকে আমরা কর্মপরিকর্পনা নিয়েছি। যাতে করে ব্যাংকের রেভিনিউ বৃদ্ধি পায়। দিন শেষে আমাদের রেভিনিউ প্রফিট যেন বৃদ্ধি পায় এটা প্রধান উদ্দেশ্য। কারণ এই চারটি ব্যাংক অর্থনীতির বিশাল এলাকা কাভার করে থাকে। যেখানে ব্যাংকের একাধিক শাখা আছে সেগুলো স্থানান্তর করা হবে, যাতে করে এক জনের কাস্টমার আরেক জন নিয়ে যেতে না পারে। আমরা ব্যাংকে হেলদি কমপিটিশন দেখতে চাই। তিন মাস পর পর চারটি ব্যাংক নিয়ে সভা করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল্যায়ন আমরাই করবো। আমরা চারটি ব্যাংকের প্রিন্টিং স্টেটমেন্ট কোয়ার্টালি দেবো। আমরা বিশ্বাস করি এদেশের মানুষের নিকট আমাদের দায়বদ্ধতা আছে সেখান থেকে আমরা কাজ করবো। যে ক্ষেত্রেই পরিবর্তন করার দরকার সেখানে পরিবর্তন করা হবে। যেখানে নতুন করে আইন করা দরকার সেখানে নতুন আইন করা হবে। এমনকি এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে বোনাসের যে অযৌক্তিক ব্যবস্থা রয়েছে প্রয়োজনে সেক্ষেত্রেও নতুন আইন করা হবে। কে কতটা বোনাস নেবে, কিসের ভিত্তিতে বোনাস নেবে। বোনাস নেয়া তো কিছু ইনডিকেটসের উপর নির্ভর করে। সেই ইনডিকেটর্সগুলো বসিয়ে দেওয়া হবে। আমরা এই কাজগুলোই করছি। এই কাজগুলো আগে করার সুযোগ পায়নি।
বিবিএস নিউজ: ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ২০২৪ সালের শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ ডেস্ক: আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এআইবিএল) এর শাখাসমূহের ব্যবসা পর্যালোচনা সভা ... বিস্তারিত
ডেস্ক রিপোর্ট: সম্প্রতি শরী‘আহ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এর বরিশাল শাখায় ফাইন্যান্সিয়াল লি... বিস্তারিত
ডেস্ক রিপোর্ট: সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড স্মরণকালের ভয়াবহ বন... বিস্তারিত
ডেস্ক রিপোর্ট: আইএফআইসি ব্যাংকের নতুন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন মোঃ রফিকুল ... বিস্তারিত
ডেস্ক রিপোর্ট: সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড স্মরণকালের ভয়াবহ বন... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ: বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির খেলোয়াড়দের গ্রুপ ও স্বাস্থ্য বীমা সুবি... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ : ধারাবাহিক বীমা দাবী পরিশোধের অংশ হিসেবে সম্প্রতি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক// পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ননলাইফ বীমা কোম্পানী সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কো... বিস্তারিত